বিএনপির হাত ধরেই দেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে: সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

বিএনপির হাত ধরেই দেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছিল। তাদের আস্কারা, প্রশ্রয় আর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার মত ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও দেশের প্রতিটি বিভাগীয় সদর দপ্তরে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

universel cardiac hospital

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

‘গণতন্ত্রহীনতায় নাকি উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে’- বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, আবার তারা গণতন্ত্রের কথা বলে! এদেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে বিএনপির হাত ধরেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমান কাদের সৃষ্টি? সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে করা হয়েছিল?

তিনি বিএনপি নেতাদের কাছে আরো জানতে চান, ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবাণী, পূরবী ও অজান্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে হয়েছিল? বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের আমলে নাকি দেশে গণতন্ত্র ছিলো, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন তাহলে বিএনপির আমলে উগ্রবাদ কিভাবে সৃষ্টি হলো?

বিএনপিই ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের সৃষ্টি করেছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন উগ্রবাদীদের লালন-পালন করে সে বিষবৃক্ষকে বড় করেছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে নাকি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী জেনে শুনে, যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিতে হবে। যারা আগে বিদ্রোহ করেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর অনুরোধ করছি।

পেছনে থেকে এমপি, মন্ত্রী ও জেলা ও কেন্দ্রীয় কোনো নেতা যদি বিদ্রোহ প্রার্থীদের মদদ দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

ধানমন্ডিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে