‘বিএনপি কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মাহবুব-উল আলম হানিফ
মাহবুব-উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে জিয়াউর রহমান ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করেছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপরও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে, তা জাতি জানতে চায়।

আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, এই দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করার মাধ্যমে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপরও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে, তা জাতি জানতে চায়।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে গণহত্যা, নারী নির্যাতন করেছিল, সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এই বিএনপির আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব। যুদ্ধাপরাধীদের মতো সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় আদালতের একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কৃপায় খালেদা জিয়া জামিনে বাইরে আছেন। বিএনপি অনেকবার বলেছিল তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে তারা আন্দোলন করবে। কিন্তু তাদের সে আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেয়নি।

হানিফ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সবাই জানে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দুর্নীতিবাজ। তাই দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কেউ রাস্তায় নামতে চায় না। এরপরেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোন লজ্জায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে তা জাতির বোধগম্য নয়।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপনসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে