বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম জিতেছে ৭ উইকেটে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে চারটায় ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে জেমকন খুলনা ও চট্টগ্রাম।
এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ঢাকার দেয়া ১১৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে। দলীয় ৪৪ রানে ওপেনার সৌম্য সরকার রান আউট হয়ে যান। ২৩ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এরপর ৫৭ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিথুন। দলীয় ১০১ রানে ডিপ মিডউইকেটে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ হন লিটন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। দলীয় ১০৮ রানে মিথুনও ডিপ মিডউইকেটে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন। তিনি করেন ৩৪ রান। পরে শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে আল-আমিন ১টি ও মুক্তার আলী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৬ রান করে অলআউট হয় ঢাকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরোতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও আল-আমিন। ৩১ বলে ২৫ রান করেন মুশফিক। ১৮ বলে ২৫ করেন আল-আমিন।
ঢাকা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়। দলীয় ১৯ রানে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ হন সাব্বির রহমান। দলীয় ১৯ রানেই ফেরেন অপর ওপেনার মুক্তার আলী। এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও নাঈম শেখ। নবম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে নাদিফ চৌধুরীর হাতে ক্যাচ হন নাঈম।
অধিনায়ক মুশফিক উইকেটে টিকে থাকলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলীয় ৭৫ রানে মোসাদ্দেকের শিকার হন তিনি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন রাকিবুল।
ভরসা ছিল ইয়াসির আলীকে নিয়ে। কিন্তু ২১ বলে ২৪ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তিনি। আকবর আলীও উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে পরপর দুই বলে যথাক্রমে আল-আমিন ও নাসুম আহমেদকে বিদায় করেন। শেষ ওভারে আউট হন রুবেল ও শফিকুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৭ উইকেটে জয়ী গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
বেক্সিমকো ঢাকা: ১১৬ (২০ ওভার)
(সাব্বির ১১, মুক্তার ৭, নাঈম শেখ ১২, মুশফিক ২৫, ইয়াসির ২৪, আল-আমিন ২৫, আকবর ২, রবিউল ৩*, নাসুম ০, রুবেল ২, শফিকুল ০; শরিফুল ২/১৭, রাকিবুল ১/২৬, নাহিদুল ১/১৫, মোস্তাফিজ ৩/৩২, মোসাদ্দেক ১/২২, সৌম্য ১/৩)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ১১৭/৩ (১৯.১ ওভার)
(লিটন ৪০, সৌম্য ২৭, মিথুন ৩৪, শামসুর ৯, মোসাদ্দেক ২; রুবেল ০/১৯, রবি ০/২৮, শফিকুল ০/১৯, নাসুম ০/১৭, মুক্তার ১/২৮, আল-আমিন ১/৪)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: মোস্তাফিজুর রহমান (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)।