বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যারা খেলাধুলাকে ভালোবাসেন এবং যারা ক্রীড়া সংগঠক তাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় হলো- জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়া। আমি প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছ থেকে একসময় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি তাঁর একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছিলাম। তখন আমি দেখেছি ক্রিকেট বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়ার জন্য, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য তিনি কীভাবে কাজ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ফেন্সিং এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট কাপ ফেন্সিং চ্যাম্পিয়ানশীপ ২০২০’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তিনি সেদিন তদবির করেছিলেন। তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবাক হয়ে বলেছিলেন, অনেকে তো অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলে কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে যাতে বাংলাদেশ আসতে পারে সেটার জন্য আপনার তদবির দেখে আমি বিস্মিত হলাম।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, তাঁর মতো এরকম ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী অতীতে কখনো দেশে আসেনি, ভবিষ্যতে আসবে কিনা আমার ঠিক জানা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন আছেন ততদিন ক্রীড়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে যাবেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বাঙালিরা যাতে মাথা উঁচু করে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও কুসংস্কারমুক্ত একটি দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা যারা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম আমরাও সেদিন তাঁর আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্যই সামনে এগিয়ে গিয়েছিলাম। এই দেশটি যাতে সামনের দিকে এগিয়ে যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরাও কাজ করছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত এদেশে বসবাসরত অন্ধকারের শক্তিগুলো বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এটি তারা চাই না। তারা নানাভাবে এদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কী? বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে, শিক্ষার অগ্রযাত্রার সাথে ও সংস্কৃতির অগ্রযাত্রার সাথে বাঙালিদের একত্রিত হওয়া এবং বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে বাঙালির মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোই তো বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। সেটার জন্যই সকলের চেষ্টা করা উচিত। অন্ধকারের অপশক্তিকে প্রতিহত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এই মুজিববর্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ ফেন্সিং এসোসিয়েশনের সভাপতি এম শোয়েব চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ডিএফপির সাবেক মহাপরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ, সেলিম ওমরাও খান ও এম মাসুদ করিম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ফেন্সিং এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব:) কামরুল ইসলাম।