গত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার জন্য লিওনেল মেসি সপ্তমবারের জন্য পেলেন পিচিচি ট্রফি। কিন্তু সেই ট্রফি নিয়ে উৎসব করার চেয়েও হতাশা গ্রাস করছে মেসিকে। কারণটা হচ্ছে, মহামারীর জন্য ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে নামা।
স্পেনের এক পত্রিকাকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা তারকা বলেছেন, ফাঁকা স্টেডিয়ামে ফুটবল দুঃসহ এবং কুৎসিত। মেসি বলেছেন, ‘ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলাটা দুঃসহ অভিজ্ঞতা। ভক্তদের ছাড়া ফুটবল কুৎসিত। মাঠে নেমে কোনো দর্শককে দেখতে না পারাটা যেন ট্রেনিংয়ে নামার মতো। মনেই হয় না ম্যাচ খেলছি। মানিয়ে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন।’
দর্শকহীন স্টেডিয়ামের এই যন্ত্রণার প্রভাব ধরা পড়েছে মেসির বার্সলোনার খেলাতে। গত বছর যখন মহামারীর জন্য ফুটবল বন্ধ হয়েছিল, লা লিগায় ১১ ম্যাচ বাকি থাকতে বার্সেলোনা ছিল শীর্ষে। সেই খেতাব তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারায়। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-৮ গোলে চূর্ণ হয়। এবারের লা লিগায় ৩৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ শুরু করেছে বার্সেলোনা। ২০০৭-২০০৮ মৌসুমের পরে মেসির সবচেয়ে খারাপ মৌসুম যাচ্ছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ৯ গোল করেছেন এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে ৫টি পেনাল্টি থেকে।
মেসি বলছেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে, দর্শকহীন ফুটবল কুৎসিত একটা ব্যাপার। ম্যাচগুলোতে লড়াই হচ্ছে সেই কারণেই। যাদের বিরুদ্ধেই খেলি না কেন, দর্শকহীন মাঠে জেতা খুবই কঠিন। মহামারী ফুটবল পাল্টে দিয়েছে এবং সেই পরিবর্তন হয়েছে খারাপের জন্য। ম্যাচগুলোতেই এর প্রভাব সকলে দেখতে পাচ্ছে। আমি আশা করি, খুব দ্রুতই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং আবার ভর্তি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলতে পারব।’
অপেক্ষাকৃত খারাপ ফর্মের মধ্যেই মেসি অবশ্য সাতবারের জন্য পিচিচি ট্রফি জিতে ম্লান করে দিয়েছেন সাবেক অ্যাতলেটিক বিলবাও দলের ফুটবলার তেলমো সারার কীর্তি। সারা ছয়বার এই ট্রফি জিতেছিলেন। মেসি বলছেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা আমার কাছে খুব বড় একটা প্রাপ্তি। কখনো কল্পনা করিনি এতবার এই ট্রফি পাব এবং তেলমো সারার মতো কিংবদন্তি ফুটবলারের নজিরকে ছাপিয়ে যাব।’
তিনি বলেন, ‘পরেরবারও এই ট্রফি পাব কিনা, তা নিয়ে আমার মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই। আমি তার চেয়ে লা লিগা শিরোপা জিততে চাই, যেটা আমরা গত মৌসুমে জিততে পারিনি।’