মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের পিএম-কিষাণ প্রকল্পের অর্থ সহায়তা থেকে পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লাখ কৃষককে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর এনডিটিভির।
মোদি বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পন্থা বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পিএম-কিষাণের (প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি) আওতায় কৃষকদের বছরে ৬ হাজার রুপি প্রদান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন মোদি।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে পিএম-কিষাণ প্রকল্পের আওতায় ভারতের ৯ কোটি কৃষকের জন্য ১৮ কোটি রুপি বরাদ্দের ঘোষণা দেন মোদি। সেই অনুষ্ঠানেই এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ৯ জন কৃষকের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
মোদি বলেন, আপনি যদি মমতা জি’র ১৫ বছর বয়সী বক্তৃতা শোনেন, তাহলে বুঝবেন তার পন্থা বাংলাকে কতটা ধ্বংস করেছে। জনগণ এই স্বার্থপর রাজনীতি কাছে থেকে দেখছে। পশ্চিমবঙ্গের যেসব দল কৃষকদের উন্নয়নের পক্ষে কথা বলছে না তারাই দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের নামে নাগরিকদের হেনস্তা করছে।
মোদি অভিযোগ করেন, বাংলায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কেন বিতর্ক উঠছে যেখানে রাজ্য সরকারের দ্বারা পিএম-কিষাণ বাস্তবায়ন না করার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। মোদি আরও বলেন, পিএম-কিষাণ স্কিমে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ লাখ কৃষক অনলাইনে আবেদন করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে রেখেছে।
‘পিএম-কিষাণ থেকে পুরো দেশ উপকৃত হচ্ছে শুধু একটি রাজ্য বাদে, তা হল পশ্চিমবঙ্গ। তারা এটা বাস্তবায়ন করেনি। এর ফলে সেখানখার ৭০ লাখ কৃষক এই সহায়তা নিতে পারছে না। রাজনীতির কারণে এই অর্থ তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।’
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। মোদির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমাকে এটা সোজাসুজি বলতে দিন। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সহযোগিতা করতে আমরা সবসময়েই প্রস্তুত। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে দুটি চিঠি পাঠিয়েছি এবং দুদিন আগে তার সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু তারা সহযোগিতা করতে রাজি হচ্ছেন না বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘৃণ্য প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমরা যেখানে কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি সেখানে কৃষকদের সহায়তা করছে এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করব না এটা অযৌক্তিক।
উল্লেখ্য, ভারতে কৃষি আইন বাতিলের বিরুদ্ধে চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মোদি সম্পর্কে তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী ‘টেলিভিশনের মাধ্যমে কৃষকদের প্রতি তার উদ্বেগ প্রদর্শন করছেন।’