দেশের ভোক্তা এবং উৎপাদনকারীর স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তোলার পর দেশটি থেকে এখন যে পেঁয়াজ আসছে সেগুলি পূর্বেই এলসি করা ছিল আর এগুলোর বর্তমান আমদানি মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ টাকা। নতুন আমদানির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ আগামী মার্চ মাসে পুরোদমে বাজারে আসবে বলে এসময় জানান মন্ত্রী।
ভারত তাদের সুবিধামতো পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করে এবং রপ্তানি বন্ধ করে দেয় মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর না থেকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আর এ জন্য উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদনকারীদের উৎসাহ প্রদান করে দ্রুত পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৪-৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা আর ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ পাউডার বানিয়ে বাজারজাত করার বিষয়ে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেয়া হবে না হুঁশিয়ার করে এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হবে। পেঁয়াজের বিষয়ে সরকার সচেতন।
বাজারে আলুর দর এখন স্বাভাবিক উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, আলুর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি সাশ্রয় মূল্যে বাজারে আলু বিক্রি করেছে। আলুর মূল্য এখন স্বাভাবিক। ভোজ্যতেল আমদানি নির্ভর পণ্য। এর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। সে কারণে বাংলাদেশে এর সাময়িক প্রভাব পড়েছে। তবে অসদুপায়ে যাতে পণ্যের মূল্য কেউ বাড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ।
এ মুহূর্তে দেশে চালের মজুত কিছুটা কম উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সে জন্য সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির সুযোগ প্রদান করা হবে।