আমরা এখন এমন এক সময়ে বসবাস করছি যখন সত্য উচ্চারণ যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, অনুরূপ মিথ্যাকেই সত্য হিসেবে উচ্চারণেও অধিক আগ্রহী। হিটলার-মিত্র গোয়েবলস বলতেন, ‘বারবার মিথ্যাকে সত্য বলে উচ্চারণ করলে মানুষ তাকেই সত্য বলে গ্রহণ করে নেয়।’ কিন্তু বাস্তবে তার সেই যুক্তি ধোপে টিকেনি। গোয়েবলস যেমন মিথ্যা বলে পার পাননি, তেমনি মহাশক্তিধর ডোনাল্ড ট্রাম্পও মিথ্যাকে সত্য সাজাতে ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশেও সত্যকে ধামাচাপা দিতে এবং মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করতে কিছু অতিউৎসাহী লোক সদা তৎপর।
আরেকটি বিষয় আমাদেরকে খুবই ভাবিয়ে তুলছে, সেটি হলো আমাদের ভবিষ্যত। কারণ সমাজ ও রাষ্ট্রের অধিকাংশ কর্তাব্যক্তি আজকাল মুখে বলেন একটা, আর কাজে করেন আরেকটা। এই দ্বিচারিতা যেন এখন খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে! এমতাবস্থায় সত্য-মিথ্যা এবং দ্বিচারিতার দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে যত দ্রুত মুক্তি পাব, ততই আমাদের জাতির জন্য, জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মঙ্গল।
- আরও পড়ুন >> বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, আলোর পথে যাত্রা
- আরও পড়ুন >> প্রসঙ্গ: ডাকটিকিটে ছাত্রলীগের ইতিহাস বিকৃতি