যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জাইন সিদ্দিক। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে বাইডেনের ট্রানজিশন টিম।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেড়ে উঠেছেন জাইন সিদ্দিক। তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এবং ইয়েল ল স্কুলের স্নাতক। বর্তমানে বাইডেন-হ্যারিস ট্রানজিশন টিমের অভ্যন্তরীণ ও অর্থনৈতিক দলের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করছেন জাইন। এর আগে তিনি নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের প্রস্তুতি দলের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে বেটো ও’রোরকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচার দলের ডেপুটি পলিসি ডিরেক্টর ও তার সিনেট নির্বাচনের প্রচার দলের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন জাইন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এলেনা কাগান, ডিসি সার্কিটের ইউএস কোর্ট অব আপিলসের বিচারক ডেভিড টাটেল ও ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ডিন প্রিগারসনের কার্যালয়ে আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
জো বাইডেন আগেই বলেছিলেন, তার প্রশাসন হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ। তিনি যেন সেভাবেই এগোচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভাসহ প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের মাধ্যমে বহু প্রথমের জন্ম দিয়েছেন বাইডেন। বাংলাদেশি জাইন সিদ্দিকও এ তালিকায় যুক্ত হলেন।
এদিকে একই দিন বাইডেন প্রশাসনে সম্ভাব্য নিয়োগের সুখবর পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- প্রেসিডেন্টের পরামর্শকদের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে জন ম্যাককার্থি, ডেপুটি চিফ অব স্টাফের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা লিসা কনকে, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনবিষয়ক চিফ অব স্টাফ মাইকেল লিচ, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মুখ্য পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান পিলেসহ বেশ কয়েকজন।
বাইডেনের ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ক দলের পক্ষ থেকে বাইডেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সরকারের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদের অবশ্যই অভিজ্ঞ, নৈতিক ও নিবেদিত লোকদের সমন্বয়ে প্রশাসন সাজাতে হবে। এই ব্যক্তিবর্গ হোয়াইট হাউসের কর্মী দলে যুক্ত হচ্ছেন, যারা পরিশ্রমী পরিবারগুলোর সদস্যদের জীবনের মান উন্নয়নে নতুন করে দেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।’
কমলা হ্যারিসও আশা প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ, তা মোকাবিলার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এই কর্মকর্তাদের রয়েছে।