নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। আপনাদের যে প্রচার মাধ্যম, সেখানে দেখিয়েছেন প্রচুর ভোটার উপস্থিতি। তারা ভোট দিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।
আজ শনিবার দেশে ৬০টি পৌরসভার ভোট শেষে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি’ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন অভিযোগের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আর নিরপেক্ষ নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। ইসির দায়িত্ব নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। নির্বাচনে যদি কেউ না আসে, তাতে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে আসা না আসার বিষয়ে রাজনৈতিক দলের একটি কৌশল হতে পারে।
দেশের কয়েকটি স্থানে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সাড়ে ৬০০ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দু-একটি কেন্দ্রে সহিংসতার তথ্য পেয়েছি। এটি বড় কিছু নয়। আর আমাদের দেশে সহিংসতা কোন নির্বাচনে হয় না? সব নির্বাচনেই কমবেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু এলাকায় দুষ্কৃতিকারী থাকে। তারা নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা চালায়, কিন্তু নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাদেরকে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, ৬০টি পৌরসভার মধ্যে রাজশাহীর বোয়ালমারী পৌরসভার একটি কেন্দ্রে দুষ্কৃতকারীরা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যালট পেপার নিয়ে যেতে পারেনি। তবে ব্যালট বাক্স যেহেতু ভেঙে গেছে প্রিসাইডিং অফিসার ওই নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন। কিশোরগঞ্জেও একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল সেটাকেও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি পৌরসভার সব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি সেখানে ইভিএমে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ব্যালটে যে তথ্য পেয়েছি তাতে সর্বোচ্চ ৭৫ পার্সেন্ট এবং সর্বনিম্ন ১৫ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে। অবশ্য এটি চূড়ান্ত হিসাব নয়। সার্বিক হিসেবে থেকে ৭০-৭৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।