বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাই)। এ আসন থেকে বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এখানেই রয়েছে তার পৈত্রিক ভিটা। অথচ বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনের পরশুরাম পৌরসভায় পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।
চতুর্থ ধাপে পরশুরাম পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো প্রার্থী না দেওয়ায় ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হতে চলেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে উচ্ছ্বাস বিরাজ করলেও বিএনপিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জেলা ও উপজেলা বিএনপি বলছে নির্বাচনের পরিবেশ নেই, তাই তারা প্রার্থী দেননি। অপরদিকে, দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন সাংগঠনিক অদক্ষতার কারণে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। দল চাইলে প্রার্থী দিতে পারতো।
এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, বিএনপিকে বার বার ডেকেও নির্বাচনে আনা যায়নি। পাওয়া যায়নি একজন মেয়র প্রার্থী। মেলেনি কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীও।
নির্বাচন কমিশন থেকে বিএনপিকে বলা হয়েছে, তারা যদি শঙ্কিত থাকে যেখানে চান সেখানেই তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। চাইলে পরশুরামের পাশাপাশি ফেনীতেও মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।
পরশুরাম পৌর নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন তথ্যই দিয়েছেন ফেনী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, রবিবার (১৭ জানুয়ারি) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সকাল গড়িয়ে যখন দুপুর হয়ে যাচ্ছিল তখনও বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করি। জানতে চাই আপনাদের কোনো মনোনয়ন জমা হয়নি। আপনারা মনোনয়ন জমা দিবেন কি না?
বিএনপিকে জানানো হয়, আপনারা চাইলে পরশুরাম নইলে ফেনীতে গিয়েও নির্বাচন অফিসে আপনাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন। আর আপনারা পরশুরাম মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চাইলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে।
এরপর বিকেলেই বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় বিএনপি।
বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে কোনো ভোটারকে আর কেন্দ্রেই যেতে হচ্ছে না। সব পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি হতে যাচ্ছেন।