করোনার কারণে ১০ মাসেরও বেশি সময় বিরতির পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। দলের সেরা ১২ খেলোয়াড়কে ছাড়া সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের মেলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। দর্শকশূন্য মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে। ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে বিটিভি, টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি। করোনার কারণে নতুন জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে সিরিজটি খেলবে দুদলের ক্রিকেটাররা।
সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ হওয়াতে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না বাংলাদেশ। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে ভারত বাদে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ সাতের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
গত বছর শুরু হওয়া সুপার লিগ পর্বে প্রতিটি দলকে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে চারটি করে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে হবে। সুপার লিগে একটি ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট, ম্যাচ টাই/পরিত্যক্ত/বাতিলের জন্য পাঁচ পয়েন্ট করে এবং হারের জন্য কোনো পয়েন্ট পাওয়া যায় না। পয়েন্টের ভিত্তিতে র্যাংকিং নির্ধারিত হবে। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা দলকে ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে বাছাই পর্ব খেলতে হবে।
সিরিজে প্রতিটি পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘এটি আমাদের জন্য অনেক বড় সিরিজ। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের পয়েন্টগুলো অর্জন করতে হবে। সত্যিকারার্থেই আমাদের শুরুটা ভালো করা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা অবশ্যই ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করব। আমরা ভালোভাবে সিরিজ শুরু করতে চাই।’
বাংলাদেশ- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতোমধ্যে ৩৮টি ওয়ানতে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১৫টি ও ক্যারিবীয়ানরা ২১টিতে জয় পেয়েছে। দুটি ম্যাচে কোনো ফল আসেনি। তবে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে ঘরের মাঠে পূর্ণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। নিজেদের কন্ডিশনে ফেভারিটের তকমা নিয়ে সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ। তবে ফেভারিট হলেও সর্তক থাকবে টাইগাররা।
তবে আশা ছাড়তে রাজি নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ বলেছেন, ‘অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়। কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে আমাদের ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেছেন, সিরিজে তার দল আন্ডারডগ হিসেবে খেলবে, আর এটিই তাদের মনোবলকে বাড়িয়ে দিবে।
তিনি বলেন, ‘নতুন খেলোয়াড়রা তাদের প্রমাণ করতে প্রস্তুত। আমি তাদের চোখে প্রবল আকাঙ্ক্ষা দেখেছি। তারা সবাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে এখানে আন্ডাডগ হওয়াতেই আমাদের মনোবল বাড়াচ্ছে।’