চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরই প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক পূর্বাভাসে এ তথ্য উঠে এসেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কর্মসংস্থান এবং জীবনযাত্রায় যে ধাক্কা লেগেছে, তা কাটিয়ে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বাংলাদেশের। করোনার আগে এক দশক ধরেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগ বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে, যেখানে ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। মূলত করোনা মহামারির কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরটা পুরোপুরি করোনা মহামারি সামলাতেই কেটেছে বিশ্বের। শেষদিকে এসে টিকার কিছু সুখবর এসেছে, তবে এই টিকা বিশ্ব অর্থনীতিতে কতটা চাঞ্চল্য ফেরাতে পারবে, তা বুঝতে হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে। চলতি বছর মহামারি-পরবর্তী প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির গতি বাড়তে পারে।
- আরও পড়ুন >> ‘টিকা নেয়াটা যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা’
দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ প্রবৃদ্ধি হবে ম্যাকাওয়ের, ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া প্রবৃদ্ধি বেশি যেসব দেশে হবে এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ (প্রবৃদ্ধি হবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডসের সেন্ট মার্টেন (৯ দশমিক ৩ শতাংশ), অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা (৮ শতাংশ), সেন্ট লুসিয়া (৮ শতাংশ) এবং মালদ্বীপ (৮ শতাংশ)।
অন্যদিকে বিশ্বের বড় পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, চীনের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, জাপানের ১ দশমিক ৭ শতাংশ, জার্মানির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ও ভারতের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, ফ্রান্স ৭ দশমিক ১ শতাংশ, ইতালি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, ব্রাজিল ৩ শতাংশ এবং কানাডা ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।