গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট উইন্ট মিন্ট ও ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সাং সুচিকে সেনাবাহিনীর আটক ও ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর ইয়াঙ্গুনে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা লাল বেলুন উড়াচ্ছিলেন। এই রং সু চির এনএলডির প্রতিনিধিত্ব করে। তারা বিক্ষোভের সময় চিৎকার করে বলছিল, ‘আমরা সামরিক একনায়কতন্ত্র চাই না। গণতন্ত্র চাই।’
বিক্ষোভকারীরা রোদের মধ্যে এনএলডির পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেন। তারা এসময় তিন আঙ্গুল দিয়ে স্যালুট দিচ্ছিলেন। যা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাসের চালক গাড়ির হর্ন বাজিয়ে বিক্ষোভের সমর্থন করেন। এছাড়া যাত্রীরা সু চির ছবি ধরেছিলেন।
বিক্ষোভ দমন করতে শুরুতে ফেসবুক ও পরে টুইটার, ইনস্টাগ্রামও বন্ধ করে জান্তা সরকার। শেষ পর্যন্ত পুরো ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক সরকার।
দশ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এক যুবক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অভ্যুত্থান মেনে নিতে পারি না। এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
ইন্টারনেট বন্ধ সত্ত্বেও সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে হাজারো লোক বিক্ষোভ করেছে। শনিবার বিক্ষোভ থেকে তারা স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ গ্রেপ্তার সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানায়।