করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা গ্রহণে শুরুতে কিছুটা অনীহা থাকলেও দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিদিনই টিকাকেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে জনসাধারণের। গণটিকাদান শুরুর এক সপ্তাহে সারাদেশে ৭ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন।
টিকাদানের সপ্তম দিন শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশের ৪৬টি সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য কেন্দ্রে সর্বমোট এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ২৭ হাজার ৪৩ জন। আর নারী ৬৭ হাজার ৩২৮ জন।
তবে এর মধ্যে সচিবালয় ক্লিনিক, বিএএফ বাশার ও বিএএফ বঙ্গবন্ধু এই তিন স্থানে আজ ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে আজ মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন। টিকা গ্রহীতার বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ঢাকা বিভাগে ২৬ হাজার ৫৬৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে আট হাজার ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭ হাজার ৭১৮ জন, রাজশাহীতে ২২ হাজার ৭৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ হাজার ৫৪২ জন, খুলনা বিভাগে ২১ হাজার ২৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে সাত হাজার ৫১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ৮৭ টিকা নিয়েছেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। সবাইকে এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
গত রোববার থেকে সারাদেশে টিকার বিনামূল্যে প্রয়োগ শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে টিকাদান।
শুরুতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন। এখন যাদের বয়স অন্তত ৪০ বছর হয়েছে, তারাও নিবন্ধন করতে পারছেন।
নিবন্ধন করে ঢাকাসহ সারাদেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ করছে।