অন্যদের মতো হয়তো চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদও উচ্ছ্বসিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নির্মিতব্য বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’-তে তিনিও অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন বলে। তাও আবার জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমেদের চরিত্রে।
কিন্তু সেই উচ্ছ্বাসই বিষাদে পরিণত হয়েছে ফেরদৌসের জন্য। ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। ফেরদৌসের বদলে তাজউদ্দীন আহমেদের চরিত্রে নেওয়া হয়েছে আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদকে।
কিন্তু কেন বাদ পড়লেন ফেরদৌস? সেই কারণ জানাতে নারাজ ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার বাংলাদেশ অংশের লাইন প্রডিউসার ও নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন জেমী। ঘটনার সত্যতা জানিয়ে তিনি শুধু বলেছেন, কিছু টেকনিক্যাল কারণে ফেরদৌসের বদলে রিয়াজকে নেওয়া হয়েছে।’
তবে জেমী মুখ না খুললেও ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক ফেরদৌসকে কালো তালিকাভূক্ত করার কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই অভিনেতা শুটিংয়ের জন্য ভারতে যেতে পারবেন না। যেহেতু এই মুহূর্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের প্রথম অংশের শুটিং চলছে মুম্বাইতে।
ভারতের গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এক নেতার পক্ষে কলকাতায় গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন নায়ক ফেরদৌস। ভিনদেশি ফেরদৌসের এ কাজে আপত্তি জানায় বিজেপি নেতারা। তারা অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে। এরপর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ফেরদৌসকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, স্বাধীন বাংলার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধু’ পরিচালনা করছেন ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এই ছবির প্রধান চরিত্র অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন ঢাকা ‘অ্যাটাক খ্যাত’ তারকা আরিফিন শুভ। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রটি করছেন নুসরাত ফারিয়া। শেখ রেহানার চরিত্রে রয়েছেন সাবিলা নূর।
এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরও আছেন দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), শহীদুল আলম সাচ্চু (এ কে ফজলুল হক), দীঘি (ছোট রেনু), রাইসুল ইসলাম আসাদ (আবদুল হামিদ খান ভাসানী), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া) ও মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান)।