গত বছরের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় ভারত সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে চীন অবশেষে তাদের পাঁচ সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনা স্বীকার করেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রাণ দেয়ায় নিহতদের মরণোত্তর পুরষ্কারে ভূষিত করেছে চীনের মিলিটারি কমিশন।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে নিহত পাঁচজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা ছিলেন, জিনজিয়াংয়ের রেজিমেন্টাল কমান্ডার কিউ ফাবো, বাকি চারজন সেনা সদস্য চেন হংজুন, চেন শিয়াংরং, শাও সিয়ুয়ান এবং ওয়াং ঝৌরান।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নিহত সেনা কর্মকর্তা চেন হংজুনকে ‘সীমান্ত রক্ষার নায়ক’ এবং বাকিদের ফার্স্ট-ক্লাস মেরিট সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এদিন পুরস্কৃত করা হয়েছে জিনজিয়াং মিলিটারি কমান্ডের রেজিমেন্টাল কমান্ডার কি ফাব্যাওকেও।
প্রায় ৪৫ বছর শান্তিপূর্ণ থাকার পর গত বছরের জুনে হঠাৎ করেই লাদাখ সীমান্ত নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চীন-ভারতের সম্পর্ক। দুই পক্ষই সীমান্তে সেনা ও সমরাস্ত্র বাড়ায়। একে অপরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তোলে তারা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমত, গত ১৫ জুন রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা শারীরিক সংঘাতে গড়ায়।
এসময় ইট-পাথর নিক্ষেপ এবং লাঠি নিয়ে উভয় পক্ষের সেনারা সংঘর্ষে জড়ান। এতে ভারতের অন্তত ২০ সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হন।
সংঘর্ষে চীনের কতজন হতাহত হয়েছেন তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে নানা সময় নানা সূত্রের বরাতে বিভিন্ন সংখ্যা বলা হয়েছে। তবে এ নিয়ে এতদিন মুখ খোলেনি চীন। অবশেষে নিহতদের সম্মান জানানোর মাধ্যমে সেই সংখ্যা নিশ্চিত করল দেশটি।