নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠন সমূহের সব কার্যক্রম স্থগিত করে আবদুল কাদের মির্জা তার সভামঞ্চ গুটিয়ে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাসহ পুলিশ গেলে বসুরহাট রূপালী চত্বর থেকে তিনি মঞ্চটি সরিয়ে নেন।
গত মাসে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রুপালি চত্বরে বাঁশ-কাঠের এই মঞ্চ তৈরি করেন কাদের মির্জা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনির বলেন, আগে তাকে মঞ্চ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল, তবে তিনি তা শোনেনি। প্রশাসন মঞ্চের কাছ থেকে সরে গেলে তিনি পুনরায় সেখানে সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি মঞ্চটি সরিয়ে নেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ববাজারে মেয়র মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮ জন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সেখানে তার মৃত্যু হয়।