সম্প্রতি লেখক মুশতাক আহমেদের কারাভ্যন্তরে মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তুলে দেওয়ার দাবিতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথ ও মিডিয়াকে উত্তপ্ত করার অবিরত প্রয়াস আমরা লক্ষ্য করছি। মুশতাক আহমেদের অনভিপ্রেত মৃত্যু নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। কাজেই এই মৃত্যুর কারণ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই উদঘাটন করা উচিৎ। কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা কোন পক্ষের নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেলে আইনের নিজস্ব গতিতে বিচার হওয়া উচিৎ। একইসঙ্গে তাঁকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকারের তরফ থেকে আদালতকে প্রভাবিত করার প্রমাণ থাকলে তা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং এ ক্ষেত্রেও আইন নিজস্ব পথে অগ্রসর হউক এ কথা আমরা জোর দাবি জানাব।
তবে যে সকল মানুষ লেখনি ও তথ্য প্রবাহের স্বাধীনতার নামে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, আন্দোলনকারীদেরকে অনুরোধ করবো, আপনারা তাঁদের কথাও ভাবুন। সংবাদকর্মী বা মুক্তচিন্তাকে পুঁজি করে যারা মিথ্যা কথা, অলীক সংবাদ প্রকাশসহ ইত্যাদির মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ব্যক্তিজীবন ও সমাজব্যবস্থায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন, অনেক সময় স্বজন প্রীতির কারণে যাদের পক্ষে আইনের তথাকথিত ব্যাখ্যাকারীরাও দাঁড়িয়ে যান, সেই হলুদ সাংবাদিকতা ও তথাকথিত মুক্তচিন্তার মানুষদের বিষয়েও আন্দোলনকারীদেরকে ভাবা উচিৎ।
সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের দাবি হলো- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তুলে নেওয়া নয়, পর্যালোচনা করে মিথ্যা, অপতথ্য ও অহেতুক যারা রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করার অপ্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা রাখতে হবে।