মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ও আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে চলা বিক্ষোভের সংবাদ প্রচার করার কারণে দুই সপ্তাহে অন্তত ২৫ সাংবাদিককে আটক করেছে সামরিক জান্তা। এদের মধ্যে ১ মার্চই ১০ সাংবাদিককে আটক করা হয়।
দ্য ইরাওয়াদ্দির খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ আটক হওয়া দশ সাংবাদিক নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে মাঠে কর্মরত ছিলেন আটককৃত সাংবাদিকরা। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের আটক করা গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়েছেন দেশটির সেভেন ডে নিউজের প্রধান সম্পাদক কো আহর মাহন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই সংবাদকর্মীরা শুধু তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, তারা বিক্ষোভ করছেন না।’
মিয়ানমার ইস্যুতে জান্তা সরকারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আজ বৈঠক করবেন আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠকে সেনা অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারপর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সামরিক জান্তা। নতুন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেনা শাসকরা।
তবে তাদের এই প্রতিশ্রুতি মানছে না সাধারণ মানুষ। এক মাসের বেশি সময় ধরে আটক নেতাদের মুক্তি ও তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বিক্ষোভ করছে বার্মিজরা। শুরুতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ হস্তক্ষেপ না করলেও পরে তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হয়ে ওঠে। ২৮ ফেব্রুয়ারি একদিনেই বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।