মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর থেকে কঠোর হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিক্ষোভকারীদের হত্যায় মত্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনী
ছবি : ইন্টারনেট

মিয়ানমারে পহেলা ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে অব্যাহত প্রতিরোধ বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর থেকে কঠোর হচ্ছে। রবিবার ছিল সেনা অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে এদিন সৈন্যরা গুলি চালালে ৭১ জনের মত মারা গেছে। সেনাবাহিনী দেশজুড়ে আরও নতুন নতুন এলাকায় কঠোরভাবে মার্শাল ল আরোপ করতে শুরু করেছে। খবর বিবিসির

অভ্যুত্থানের পর থেকে অং সান সুচি, যার দল এনএলডি নভেম্বরে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল, কোথায় রয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। তাকে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজিরের কথা থাকরেও ভার্চুয়াল শুনানি মুলতবি করা হয়।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর রবিবার ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন। এদিন গুলিতে ৩৯ জন মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দেড় শতাধিক। আহতদের মধ্যে আজ সোমবার মারা গেছেন ৩২ জন। এ নিয়ে রবিবারের সহিংসতায় মোট মারা গেলেন ৭১ জন। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন স্করেনার বার্জানার রক্তক্ষয়ী এ হত্যাকাণ্ডে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন।

শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত হ্লায়াইং থারইয়ায় চীনের বেশ কয়েকটি কারখানায় হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা দুইটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় ছুরি ও লাঠি হাতে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী।

অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৭০ বিক্ষোভকারী নিহত এবং ১২৯ জন হয়। এ নিয়ে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১৮০ জনে ছাড়িয়েছে। ডাক্তার এবং উদ্ধারকারীরা আরও নিহতের আশঙ্কা করছেন।

শেয়ার করুন