মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দেয়ার কথা বলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জরুরি সভায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা ও সম্মেলনের কথা তোলায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সোমবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩-বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ ঘটনা ঘটে। সভায় উপস্থিতি একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুজিবশতবর্ষ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এ জরুরি সভা আহ্বান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির শতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিষয়গুলো নিয়ে তারা কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান কথা বলতে শুরু করেন। তিনি কথা বলার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির কথা তুলে সম্মেলনের দাবি করেন।
সম্মেলনের কথা উঠলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘নেত্রী বললে তখন সম্মেলন হবে।’ তখন আরিফুজ্জামান ইমরান বলেন, ‘নেত্রীকে আপনাদের বলতে হবে।’ তার কথায় সমর্থন দিয়ে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা বলবেন না। আপনারা একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেন। তারা গিয়ে নেত্রীকে বলবে।’ সভাপতি তখন নেত্রীকে জানাবেন বলে জানান।
তখন সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান নোবেল, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, আরিফুজ্জামান আল ইমরানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কার্যালয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় রাকিবুল হাসান নোবেলকে সভা থেকে বের করে দেন।
ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা বলেন, ছাত্রলীগের জরুরি সভায় সংগঠন নিয়ে আলোচনা হবে, সমালোচনা হবে। কিন্তু আলোচনা সমালোচনার মধ্যে কেউ তেড়ে আসবে এমন ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এছাড়া একজন জুনিয়র নেতা একজন সিনিয়র নেতার ওপর হাত তুলতে উদ্ধত হওয়া ছাত্রলীগের আদব বহির্ভূত কাজ।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।