নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (সাময়িক বহিষ্কৃত) মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণের জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন মামলার বাদী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারিও করেছেন আদালত।
রোববার (২১ মার্চ) মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে মামলার বাদী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মিজানুর ও রিপন কাজী। আসামিদের মধ্যে পলাতক রিপন কাজী বাদে সবাই রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকা বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।