কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এর মধ্যেই কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দেশটিতে সফর করছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আফগানিস্তান সফর করলেন।
রোববার (২১ মার্চ) আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় সকালে লয়েড অস্টিন কাবুলে পৌঁছান। এরপর তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। খবর বিবিসির।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব দেশটিতে চলমান যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশটিতে (আফগানিস্তানে) এখনও সহিংসতার মাত্রা অনেক বেশি। সমঝোতার মাধ্যমে সংঘাত অবসানে বড় ধরনের সহিংসতা কমানোর দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
লয়েড অস্টিন নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, আমরা সত্যিই আফগানিস্তানে সহিংসতার মাত্রা কমে এসেছে এটা দেখতে চাই। সহিংসতা কমলে ন্যূনতম কূটনৈতিক শর্তে কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
ওয়াশিংটনের তথ্য মতে, আফগানিস্তানে বর্তমানে তাদের প্রায় আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। আফগান সরকারের সঙ্গে স্থায়ী ও বিশ্বাসযোগ্য চুক্তি হওয়ার আগেই সেনা প্রত্যাহার করলে পুনরায় তালেবান ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে ধারণা মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের।
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডা ট্রাম্প প্রশাসন তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতার (যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তি) বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। তবে বিদ্রোহীরা আফগান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আফগানিস্তান পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষ পরিদর্শক জন সোপকো বলেছেন, আফগান সরকার ও তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি ছাড়া মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হবে একটি বিপর্যয়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা ছাড়া আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে।