ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের প্রচেষ্টার বেশ কিছু ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। সব বিতর্ক সরিয়ে দু’দেশই হয়তো নিজেদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সম্পর্ক উন্নয়নের প্রত্যাশা জানিয়ে মোদি ইমরান খানকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
গত ২৩ মার্চ, মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি। শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি লিখেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত পাকিস্তানের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়। সেজন্য সন্ত্রাস ও বিরোধিতামুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।’
এর আগে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনেও ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। গত মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীর সীমান্তে একে অন্যের বিরুদ্ধে গোলাগুলি ও হামলার বন্ধের বিষয়ে একমত প্রকাশ করে।
ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে ভারত, পাকিস্তান বা আমিরাতের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।
এছাড়া গত সপ্তাহেই ইসলামাবাদে নিরাপত্তা সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ‘অতীতের বিরোধকে কবর দিয়ে’ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রীতির কথা বলেছেন। তিনি ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে’ কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানের কথাও উল্লেখ করেছেন।
জেনারেল বাজওয়াই শুধু নয়, তার আগের দিন ওই একই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতের সাথে তার দেশের সাথে শান্তি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক শান্তি থাকলেই ভারত মধ্য এশিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ পাবে। প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের কথার প্রতিধ্বনি করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশীও।
এছাড়া মঙ্গলবার দু’দেশের মধ্যে দু’দিনব্যাপী বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লিতে ওই বৈঠক হচ্ছে। সাম্প্রতিক এসব ঘটনা থেকে দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।