ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রেলওয়ে স্টেশনে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কর্মী সমর্থক ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রেলস্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ড ঘটায়। এতে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডব নিবৃত করতে প্রশাসন নীরব থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও জামিয়া সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তারা শহরের প্রবেশমুখ কুমারশীল মোড় ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

বিকেল ৪টার দিকে মাদরাসাছাত্রদের একটি গ্রুপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাদের দখলে নিয়েছেন। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। এরপর তারা অগ্নিসংযোগ করেন। রেললাইনের ওপরে চেয়ার-টেবিলসহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা মালামালে অগ্নিসংযোগ করে রেললাইনে ফেলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ মত ও পথকে জানিয়েছেন, ছাত্ররা স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে একই সময়ে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অপর একটি গ্রুপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করে। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ফুলের বাগান ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি সেখানে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরেরও চেষ্টা চালায়। এছাড়া তারা বঙ্গবন্ধুর স্কয়ারে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।