বিক্ষোভকারীদের দমনে মাথায় বা পেছন থেকে গুলি করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। এরপরই শনিবার (২৭ মার্চ) একদিনে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমার নাও এর খবরে বলা হয়েছে, শনিবার বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। তবে রয়টার্স এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি।
সামরিক জান্তা বলছে, তারা জনগণকে রক্ষা করতে লড়াই করবে এবং গণতন্ত্রের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের
খবরে বলা হয়েছে, মাথায় ও পেছনে গুলি করার জান্তার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইয়াঙ্গুন, মান্দাল ও অন্যান্য শহরের রাস্তায় শনিবার বিক্ষোভে নামেন গণতন্ত্রপন্থীরা। এসময় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনী।
এই ঘটনাকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য লজ্জার দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্যদের গঠিত জান্তা বিরোধী গোষ্ঠী সিআরপিএইচ এর মুখপাত্র ডা. সাসা। তিনি বলেন, তিন শতাধিক নিরীহ নাগরিককে হত্যার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করছেন সামরিক জেনারেলরা।
মিয়ানমার নাও জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ইয়াঙ্গুনের শহরতলি ডালায় একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভরত জনতার ওপর গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এতে চারজন নিহত এবং দশ জন আহত হন। অপরদিকে নগরীর ইনসেইন জেলায় বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলে খেলা এক যুবকসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া ইয়াঙ্গুনের নিকটবর্তী বাগো অঞ্চলে পূর্বের লশিও শহরে চারজন এবং পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পূর্বের হোপিন শহরে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে একাধিক নিহতের খবর মিলেছে।