পশ্চিমবঙ্গে শনিবার প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই সহিংসতা হয়েছে। এ দিন সকালেই কোশিয়ারিতে একজন বিজেপি কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এরকম নানান ঘটনা নিয়ে ভারতের এই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৬২৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী কর্মকর্তা (সিইও) আরিজ আফতাব বলেছেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া প্রথম দফার ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে শনিবার। এই হিসাব বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তারপরও ভোট হয়েছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত শতকরা ভোটের চূড়ান্ত হিসাব কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের ৩০টি কেন্দ্রে হওয়া ভোট নিয়ে কমিশন খুশি।
শনিবার সকাল থেকে ইভিএম নিয়ে অভিযোগ আসতে শুরু করে। দক্ষিণ কাঁথির মাজনায় ‘ইভিএম’-এ কারচুপির অভিযোগ ওঠে। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাজনার বুথে ইভিএম যন্ত্রে তৃণমূলে ভোট দিলেও দেখা যাচ্ছে ভোট পড়ছে বিজেপিতে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সে কারণে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সুশান্তের দাবি, ‘তৃণমূল এবং বিজেপি যোগসাজশ করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়িতেও হামলার অভিযোগ ওঠে এ দিন। সিইও দফতর জানিয়েছে, ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে।
রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এ দিন নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছেন। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রেও যাতে পরের দফা থেকে অশান্তি না হয়, তাই আমরা কমিশনকে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার অনুরোধ করেছি।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষারোপ করছে তৃণমূল। খেজুরি, পুরুলিয়ায় ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ। জঙ্গলমহল থেকে পরিবর্তন শুরু হবে। প্রথম দফার ৩০টি আসন বিজেপি পাচ্ছে।’