দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ দিনের জন্য এসব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার ৪ জেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ হতে যেখানে ৭৭ দিন সময় লেগেছিল, তা ৬ লাখে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে মাত্র ২২ দিন।
গত তিন দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের ওপরে থাকার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও থাকছে ১৮ শতাংশের বেশি, যা গত ২৪ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। নতুন করে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় গত সোমবার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রোধে কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলায় সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলায় ১৪ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লোক সমাগম কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের পর্যটনের জন্য বেশিরভাগই কক্সবাজার ও এই তিন জেলাকেন্দ্রিক। তাই করোনা ঠেকাতে সব ধরণের বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল থেকেই এই ঘোষণা কার্যকর হবে।
পর্যটন কেন্দ্র ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজও। তিনি বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লোকসমাগম ঠেকানো যাচ্ছে না। আর এই সময়ে এসে করোনা প্রকোপ বেড়ে গেছে। আজকেও ৫২ জনা মারা গেছেন, শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। করোনা প্রকোপ ঠেকাতেই আগামী ১৪ দিন বান্দরবানে সব ধরনের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।