ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে কোরান কারীম। এই পবিত্র গ্রন্থে আছে ‘লা ইকরাখ ফি দ্দ্বীন’ অর্থাৎ ধর্মে জবরদস্তি নেই। অনুরূপ পবিত্র গ্রন্থে মিথ্যাচারকে মহাপাপ বলা হয়েছে। আরও বলা আছে ‘পৃথিবীতে তোমারা ফ্যাসাদ করিও না। আল্লাহ নিশ্চয়ই ফ্যাসাদকে পছন্দ করেন না’ বিদায় হজ্বে আল্লাহর রাসূল স্পষ্ট করেই বলেছিলেন ‘ধর্ম নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করিও না। কেননা অতীতে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।’- এই হচ্ছে মোহাম্মদী ইসলাম। এই মোহাম্মদী ইসলামের পক্ষ নেওয়ায় খারেজিরা হযরত আলী (রাঃ)কে ত্যাগ করে তাঁকে হত্যা করা আবশ্যক বলে হত্যা করেছিল। তারা কাতেবে ওহী হযরত মোয়াবিয়া (রাঃ)কে হত্যা করা বৈধ বলে হত্যার প্রয়াস নিয়েছিল। কিন্তু সফলকাম হয়নি। এই খারেজিরাই ইসলামে প্রথম মুসলমানকে কাফের বলে হত্যার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা মিসর বিজয়ী হযরত আমর ইবনুল আস-কেও হত্যা করা বৈধ বলে মরণঘাতী হামলা চালিয়েছিল। অনেক কষ্ট করে হযরত আমর ইবনুল আস এদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন।
বর্তমানে যারা হেফাজত নামে ধর্মান্ধ, তারা ঐ খারেজিদের উত্তরসূরী। তারা মুসলমানদেরকে কাফের বলে। তারা কথায় কথায় মুসলমান সরকার ও মুসলমান ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে, যা ফ্যাসাদের নামান্তর। এই ফ্যাসাদ তৈরীর প্রয়োজনে তারা মিথ্যা ও অপকাহিনীর আশ্রয় নেয়। যেমনটা করেছিল খারেজিরা।
- আরও পড়ুন >> ফুল ও দানব
এই খারেজিদের উত্তরসূরী হেফাজতিরা। এই বক্তব্যে কারও আপত্তি থাকলে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি তত্ত্বাবধানে আমি, এই সম্পাদকীয় লেখক, তাদের যেকোনো লোকের সাথে বিতর্ক অনুষ্ঠান করতে প্রস্তুত আছি।
একই সাথে ইসলাম বহির্ভূত [খারেজু মিনাল ইসলাম- হযরত আলী (রাঃ)] এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তবুদ্ধির পক্ষের, মুজিবাদর্শের পক্ষের,গণতন্ত্র, বৈষম্যহীন অর্থনীতি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।