নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে যে নারী সঙ্গে অবকাশ যাপন করতে গিয়েছিলেন উগ্রবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী নন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে সংগঠনটির কর্মীরা ওই রিসোর্ট থেকে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মসজিদে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে মামুনুল হক তার স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, পুরো বিষয়টা আমি সামনে এসে তোমাকে বলবো। আমার সঙ্গে যে ছিল সে শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ। প্রতি উত্তরে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেন, বাসায় আসেন তারপর কথা বলবো। এমনকি মামুনুলও বলেন, তুমি সবাইকে বলবে, বিষয়টা তুমি জান।
এর আগে বিকেলে রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হককে স্থানীয় কয়েকজন অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মামুনুল এক নারীসহ আটক হয়েছেন। যদিও ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন>> ৭১-এ আমগো অবস্থান ছিল নিরপেক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে: শাইখুল হাদিস আজিজুল হক
এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও সেখানে উপস্থিত হন। এ ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই লাইভ দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসার শত শত ছাত্র ওই রিসোর্ট গিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে আসেন। বের হয়ে এসে মামুনুল হক জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। আপনারা শান্ত থাকুন।
ফোনালাপ:
মামুনুল হকের স্ত্রী: আসসালামু আলাইকুম
মামুনুল হক: ওলাইকুম সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ। পুরা বিষয়টা আমি তোমাকে সামনে আইসা বলবো। ওই মহিলা যে ছিল সাথে সে হইলো আমগো শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ। বুঝছো? ওইটা নিয়া এমন একটা মানে অবস্থা এরকম তৈরি হইয়া গেছে যে এই কথা বললে তারা ওখানে মানে ই কইরা ফেলছিল আমাকে।
মামুনুল হকের স্ত্রী: আচ্ছা, বাসায় আসেন, তারপর যা বলার তারপর বইলেন।
মামুনুল হক: বলুম তো। তুমি বিষয়টা মানে অন্যান্য কথা বলতে হইবো, পরিস্থিতিটা এমন হইয়া গেছে। এখন এই জন্য তুমি আবার মাঝখান দিয়া অন্য কিছু মনে কইরো না। তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে তুমি বইলো হ্যাঁ আমি সব জানি। এইরকম কিছু একটা বইলো।
মামুনুল হকের স্ত্রী: ঠিক আছে।
মামুনুল হক: আচ্ছা। আসসালামু আলাইকুম।
মামুনুল হকের সঙ্গে তার স্ত্রীর ফোনালাপটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন