সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১টি বিধি-নিষেধের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি–বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
তবে লকডাউনের শুরুর দিনে রাজধানীতে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যাত্রীবাহী বন্ধ থাকলেও সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চাপ চোখে পড়ার মতো। এমনকি যানজট এড়াতে বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তার সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। আবার গণপরিবহন চলাচল না করায় অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় গাড়ি না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে অফিসগামী সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সড়িয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে।
দেখা যায় বাস না পেয়ে অফিসগামীরা ভ্যানে চড়ে বসেছেন। কথা হয় ভ্যানযাত্রী সোহাগের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশে সাত দিনের লকডাউন দিলেও আমাদের অফিস তো খোলা। আর অফিসে যাওয়ার জন্য কোনো বাস পাচ্ছি না। রিকশা চালকরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে ভ্যানে চড়েছি। অফিসে যেতে এভাবে নানা উপায় বেছে নিচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলি, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, মানিক মিয়া এভিনিউসহ বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়েনি। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। যে যার মতো পারছে বাসা থেকে বের হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে লকডাউন কতটা সফল হবে সেই প্রশ্ন অনেকের।
সর্বশেষ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ২৬৬ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে দাঁড়াল।