মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন। এই সময় দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এটিএম বুথ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইন সেবা। ব্যাংকগুলোকে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করে।
সিরাজুল ইসলাম জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লাকডাউনে তফসিলি সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজন পড়লে স্থল, বিমান ও সুমদ্রবন্দর এলাকায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা কর্তৃপক্ষ চাইলে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে এডি শাখা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খুলতে পারবে।
এদিকে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় সর্বাত্মক লকডাউনে বন্ধ থাকবে দেশের পুঁজিবাজারও। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
রেজাউল করিম বলেন, এখনো প্রজ্ঞাপন হাতে পাইনি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকবে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে চলাচলে ও কাজে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। ওই বিধিনিষেধ অনুযায়ী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। সোমবার খোলা ছিল বেলা একটা পর্যন্ত। আগামীকাল মঙ্গলবারও খোলা থাকবে বেলা একটা পর্যন্ত। তবে আজকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৪ তারিখ থেকে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।