করোনায় একদিনে ফের শতাধিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
ফাইল ছবি

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ১৩ মাস পর এসে সে সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল। গত একদিনে করোনায় আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মারা গেলেন ১১ হাজার ৫৩ জন।

এদিকে প্রায় পাঁচদিন পর মৃতের সংখ্যা আবার একশো ছাড়ালেও শনাক্তের সংখ্যা তিন হাজারে নিচে রয়েছে। গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯২২ জন।

universel cardiac hospital

রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৯২২ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জনে। পরীক্ষা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩.৩৩ শতাংশ।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫০১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর নয়দিন পর সে সংখ্যা নব্বইয়ের নিচে ছিল গতকাল (৮৩ জন)। সবশেষ ১২ এপ্রিল ৮৩ জন ও ১৩ এপ্রিল ৬৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর সে সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১১২ জনে গিয়ে থামে।

এদিকে গতকালের মতো এক মাস পর সংক্রমণও আজও তিন হাজারের নিচে। গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯২২ জন। আর গতকাল তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৭ জনের শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। এর আগে সবশেষ ২২ মার্চ শনাক্ত হন ২ হাজার ৮০৯ জন। এরপর সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এদিকে সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৩০১ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

শেয়ার করুন