পানি নিয়ে বিরোধের জেরে সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়েছে কিরগিজস্তান ও তাকিস্তিান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় দশ হাজার মানুষকে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সামরিক সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতে কিরগিজস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় এবং দেশটির সেনাসদস্যদের সরিয়ে আনা হয়।
শুক্রবার কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সংঘর্ষে কিরগিজস্তানের ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তরুণীও আছেন। আহত হয়েছেন ১৩৪ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে সীমান্তে এটিই উভয় দেশের মধ্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। বুধবার একটি পানিকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে দুই দেশের মানুষেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় একে অপরের দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। বিরোধ অবসানে একটি সমঝোতা ও সেনা প্রত্যাহারের উভয় দেশ সম্মত হলেও গুলি অব্যাহত রয়েছে।
হতাহতের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দশ জন নিহত ও অপর ৯০ জন আহতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কয়েকটি ভবন আগুনে পুড়ছে।
খবরে বলা হয়েছে, জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়ালে দ্রুত উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীরা জড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। পরে সমঝোতা হলে সশস্ত্র সেনারা তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যায়। তবে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিনিধিকে বাটকেন পুলিশের এক প্রতিনিধি জানান, রাতেও গুলিবিনিময় হয়েছে। তবে তা ব্যাপক ছিল না।