করোনায় আরও ৬১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
ফাইল ছবি

গত একদিনে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন আরও ৬১ জন। এ নিয়ে ভাইরাসইটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১১ হাজার ৭০৫ জন। এদিকে কয়েকদিন কমতির দিকে থাকার পর টানা দ্বিতীয় দিন বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। তবে, পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে নয় শতাংশের নিচে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। গতকাল ১ হাজার ৭৩৯ জন শনাক্তের তথ্য জানানো হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯১৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৯১৪ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.৭১ শতাংশ। সোমবার ছিল ৮.৯৫ শতাংশ ও রবিবার ছিল ৯.৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৪৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন ও ১১ থেকে ২০ বছরের একজন মারা গেছেন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন