মুসলিম ৫৭ জাতির সংস্থা ওআইসির (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) জরুরি বৈঠক ফিলিস্তিনকে ইসরাইলের বর্বর হামলা থেকে রক্ষা করার কোনো পদক্ষেপ বা কার্যকরী সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
সৌদি আরবের বিশেষ অনুরোধে রোববার ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ওই ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর আনাদোলুর।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের উচিত ছিল ইসরাইলি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু ইহুদিবাদী দেশটির মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধের কোনো পদক্ষেপই নিতে পারেনি।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করেছেন বক্তারা। দখলদার দেশটি ৫৫ শিশু, ৩৪ নারীসহ দুই শতাধিক বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিককে বোমা মেরে হত্যা করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি ফিলিস্তিনিদের এ চরম দুর্দিনে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।
রোববার ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, এ সময় কয়েকটি আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নিন্দনীয় কাজ করেছে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ণবাদী নীতি অনুসরণ করার কারণে ইসরাইলের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন হ্রাস পাচ্ছে বলে আমরা দেখছি। তবে এ সময়ে ইসরাইলের সঙ্গে কয়েকটি মুসলিম দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কারণে আমাদের প্রতিবাদ কতটুকু গুরুত্ব পাবে?
ওআইসির বৈঠকে ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব পদক্ষেপে নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।
বৈঠক শেষে এক টুইটবার্তায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের ঐক্য ও দৃঢ়তা দেখানোর সময় এসেছে। ইসলামি উম্মাহ আমাদের নেতৃত্বের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে।
ওআইসির নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংসতার জন্য এককভাবে ইসরাইলকে দায়ী করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ওআইসির নেতারা।