ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার পরিবার ফৌজদারি অপরাধে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদ চিশতীর জামিন শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন আপিল বিভাগের একজন বিচারক।
তিনি রাশেদ চিশতীর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা এখনো প্রমাণ করতে পারেননি এই অর্থের বৈধ উৎস কী।
আদালত বলেছেন, মামলার নথি থেকে দেখা যায়, মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীই মূল অপরাধী। অপরাধ কার্যক্রমে তিনি তার পুরো পরিবাবের সদস্যদের ব্যবহার করেছেন। পুরো পরিবারই অপরাধ কাজে জড়িত।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোর্শেদ।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রাশেদ চিশতীর জামিন শুনানি হয়েছে। এসময় আদালত কিছু মন্তব্য করেছেন। কিছু ডকুমেন্টে দাখিলের জন্য ১ জুন মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত। ওই দিন পরবর্তী শুনানি হবে।
১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে গত ২৬ জানুয়ারি জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে দুদক।
এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি রাশেদ চিশতীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। ওই আবেদনের শুনানির হয় সময় বৃহস্পতিবার বিচারক এমন মন্তব্য করেন।
গত বছরের ১৯ মে রাশেদ চিশতীকে একাধিক মামলায় বিচারিক আদালত জামিন দেয়। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে মাহবুবুল হক চিশতী ও রাশেদ চিশতী কারাগারে আছেন।