দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার বিকালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে দেশ করোনাভাইরাসের মোট চারটি টিকা অনুমোদন পেল। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুটরিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে গত ২৪ মে স্টিকার ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন দেয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সিএমসি পার্ট রেগুলারিটি স্ট্যাটাস) পর্যবেক্ষণ করে ২৫ মে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ ইনভেস্টিগেশনাল ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্য নির্ধারণ কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৭ মে টিকার অনুমোদন প্রদান করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে টিকাটির লোকাল লিগ্যাল অর্গানাইজেশন হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভ্যাকসিনটি ইউএসএফডিএ (USFDA) কর্তৃক গত বছরের ১১ ডিসেম্বর, ইউকেএমএইচআরএ (UKMHRA) কর্তৃক গত বছরের ২ ডিসেম্বর এবং ইএমএ (EMA) কর্তৃক গত বছরের ২১ ডিসেম্বর জরুরি ব্যবহারে অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও টিকাটি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহার তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফাইজারের টিকাটি ১২ বছর এবং তার বেশি বয়সী ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য। দেশে এটি সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে। টিকাটি দুই ডোজের। প্রথম ডোজের তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এর সংরক্ষণ তাপমাত্রা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি। তবে টিকাটি পাঁচ দিন দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টা স্ট্যাবল থাকবে।