হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত শাহ আহমদ শফীকে মৃত্যুর আগে ওষুধ খেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাদিদ। সেই সঙ্গে তার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার (২ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নুরুল ইসলাম জাদিদ।
তিনি বলেন, হেফাজতের আমিরের মৃত্যু নিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী সংবাদমাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন। যারা আহমদ শফীর হত্যা মামলার আসামি তারা কখনো হেফাজতের কর্ণধার হতে পারে না।
নুরুল ইসলাম জাদিদ আরও বলেন, জেলা শহরসহ সারা দেশে নতুন করে হেফাজতে ইসলামের কমিটি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ১২ এপ্রিল শফীকে হত্যার প্ররোচনা মামলায় সংগঠনটির তৎকালীন আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর দু’মাসের মাথায় তার শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কিছু দাবি নিয়ে হেফাজতের একটি অংশ আল্লামা আহমদ শফীকে অবরুদ্ধ রাখে। এমনকি চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসা থেকে বের করার সময় তার অ্যাম্বুলেন্সও আটকে রাখা হয়েছিল। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।