বাজেট ঘাটতির অর্থ কোথা থেকে আসবে সেটাই বড় প্রশ্ন : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা
বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা। সংগৃহীত ছবি

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বিশাল এ ঘাটতির অর্থ সংস্থান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।

শুক্রবার (৪ জুন) ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

universel cardiac hospital

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেট ঘাটতির অর্থ কোথা থেকে আসবে সেটা বড় প্রশ্ন। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬.২ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৈদেশিক উৎস থেকে বাজেট ঘাটতি পূরণের বিষয়টি ইতিবাচক দিক। এটা আকাঙ্ক্ষিত। তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ১০ মাসের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে পুরো অর্থবছর কেমন হতে যাচ্ছে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে গতিপ্রকৃতি ঠিক করা হয়নি। আমরা এখানে দুর্বল অবস্থায় রয়েছি।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের বিষয়ে বাজেটে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় রাজস্ব আহরণ ১০.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে কতটুকু সম্ভব হবে, সে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সিপিডি পর্যালোচনায় দেখতে পায় রাজস্ব আহরণ ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৯.৬ শতাংশ। বলা হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। ব্যয় ঠিক করে আয়ের চিন্তাধারা থেকে এনবিআরের ওপর রাজস্ব আদায়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। যা আসলে অর্জন করা সম্ভব হয় না।

এর আগে গতকাল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিপিডি জানিয়েছিল, রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ছিল অনেক বড়। এটা গত কয়েক বছর ধরেই ছিল। করোনার সময় সেটি আরও বেড়েছে। সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে দুর্বলতা, সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি হয়েছে। বাস্তবায়নের হার অত্যন্ত নিম্ন। ব্যয় কম হওয়ার কারণে সরকারি ঘাটতি সীমারেখার নিচেই রয়েছে। ক্ষুদ্রশিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।

পাশাপাশি কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি রফতানির ধারাটা বজায় ছিল। রেমিট্যান্সের প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তাছাড়া ব্যালেন্স অব পেমেন্টের অবস্থা স্বস্তিদায়ক, মুদ্রার বিনিময় স্থীতিশীল, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে।

শেয়ার করুন