সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে পতন হয়েছে মূল্যসূচকের।
গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপনের পর থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এই বাজেটে করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে কালো টাকার বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী। এ কারণে ধরে নেয়া হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়, তা আগামী অর্থবছরে থাকবে না। ফলে আগামী ৩০ জুনের পর শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না।
অবশ্য চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
অর্থমন্ত্রী নতুন বছরের প্রস্তাবিত বাজেট দেয়ার পর রোববার সাড়ে ১০ বছর বা ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। তবে দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। আর সোমবার শেয়ারবাজারে এক প্রকার ধস নামে।
দুই দিন নিম্নমুখী থাকার পর মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্টে বেড়ে যায়। তবে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্টে কমেছে। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৬ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১১পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৮টির। আর ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৯ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৯৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
