মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রও সমানভাবে দায়ী। কারণ ইসরায়েলের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। খবর পার্সটুডের।
মঙ্গলবার (৮ জুন) ব্লিঙ্কেন ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর তেল আবিবের দমন অভিযানকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ প্রসঙ্গে হামাস তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যদি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তরিক হয় তবে তাকে স্বাধীনচেতা ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
গত মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। শুরু হয় ফিলিস্তিনের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়; যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে। সোচ্চার হয় মুসলিম বিশ্ব এবং তোপের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের ভূমিকা।
১০ মে থেকে ১১ দিন সংঘাত চলার পর ২০ মার্চ রাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। যুদ্ধচলাকালে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৫ শিশু রয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলে হামাসের ছোড়া রকেটে ১২ জন নিহত হয়েছেন।