যাদের একটু মাথা গোজার ঠাঁইও নেই এমন পরিবারকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের ঠিকানা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক পরিবারকে দুই শতক জমি ও সেমিপাকা ঘর উপহার দিচ্ছেন। আগামীকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় উপকারভোগীর হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেবেন সরকারপ্রধান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি প্রকল্পের প্রথম ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর কাছে ৬৯ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রোববার দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন, গৃহহীন এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
আহমদ কায়কাউস বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান। এরই অংশ হিসেবে রোববার দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে (স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে) বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ন’ নামে প্রকল্প নেয়া হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত তিন লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়। এ লক্ষ্যে গত বছর জুনে সারা দেশে দুই শ্রেণিতে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার ও যাদের এক থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা জরাজীর্ণ ঘর রয়েছে এমন আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করা হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নেয়া হয় তাদের জীবন বদলের উদ্যোগ।