আজ বুধবার পাস হচ্ছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট পাসের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় আজ পাস হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট।
৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে কয়েকজন সংসদ সদস্যের ছাঁটাই প্রস্তাব নিষ্পত্তির পর ‘নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২১’ পাস হবে। এর মাধ্যমে শেষ হবে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসের কার্যক্রম।
বাজেট পাসের পর বুধবারই রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দেবেন। আগামীকাল ১ জুলাই নতুন অর্থবছর থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে।
‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করেন। দুই দিন আলোচনা করে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এরপর সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে টানা চার দিন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। পরে আরও ১০ দিন বিরতি দিয়ে ফের দুই দিন বাজেটের ওপর আলোচনা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টি-জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাজেট আলোচনা শেষ হয়। এরপর পাস হয় অর্থ বিল। সব মিলিয়ে প্রায় একশ’র মতো সংসদ সদস্য এবার বাজেটের ওপর আলোচনা করেন বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। ৫০তম বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে। বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতকে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।