গত সোমবার কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (৪৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে বাঁচতে অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অতিরিক্ত গরমের কারণে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সূত্র, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মধ্যে ভ্যাঙ্কুভারের বার্নবে ও সারে এলকায় যেসব মানুষ মারা গিয়েছে তাদের বেশিরভাগই বয়স্ক অথবা তারা অন্য কোনো জটিল রোগে ভুগছিলেন।
স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, তারাও গত সোমবার থেকে অনেক মানুষের হঠাৎ মৃত্যুর সংবাদ পাচ্ছেন। কিন্তু সেটি কমছে না।
এক বিবৃতিতে আরসিএমপি কর্পোরাল মাইকেল কালাঞ্জ বলেছেন, ‘যদিও বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। কিন্তু বেশিরভাগ মৃত্যুর পেছনে অতিরিক্ত গরম একটি কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক বছর ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। গত পাঁচ বছর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। শুধু কানাডা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায়ও গরমে নাকাল মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্য থেকে শুরু করে কানাডার আর্কটিক অঞ্চল পর্যন্ত তাপদাহের জন্য ভৌগোলিক অবস্থানগত কিছু কারণকে দায়ী করা হয়। কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কানাডার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফিলিপস বলেছেন, ‘কানাডাতে বর্তমানে যে গরম পড়ছে তাতে মনে হচ্ছে দুবাইয়ের আবহাওয়াই বরং ঠাণ্ডা।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ১৯৪০ এর দশক থেকে আবহাওয়ার রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর থেকে এবারই পোর্টল্যান্ড, ওরেগন, সিয়াটল ও ওয়াশিংটনে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পোর্টল্যান্ডে সেই পরিমাণ ৪৬.১ ডিগ্রি এবং সিয়াটলে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিটওয়েভের কারণে ভ্যাঙ্কুভারে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বন্ধ করতে হয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সেন্টার। কর্মকর্তারা রাস্তার কোণে অস্থায়ী পানির ফোয়ারা তৈরি করে দিয়েছেন যাতে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়।