একমাত্র টেস্ট ম্যাচের আগে বাংলাদেশ একাদশ বনাম জিম্বাবুয়ে একাদশের মধ্যকার দুইদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সাইফ-শান্ত-সাকিবের ফিফটিতে মাত্র ২ উইকেটে হারিয়ে ৩১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মুমিনুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশি একাদশ। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০২ রানে অলআউট হলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে বিনা উইকেটে ২২ রান।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খুলতেই পারেননি ওপেনার সাদমান ইসলাম। অথচ ব্যাট হাতে মোকাবেলা করেছেন ৩০টি বল।
মাত্র ১৬ রানে প্রথম উইকেট পড়লেও দলে তাতে কোনো প্রভাব পড়তে দেননি আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ও বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন এই দুজন। উভয়ই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশত রানের ইনিংস।
অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যাট করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য তাদের তুলে নেয়া হয়। ৬৫ করেন সাইফ, আর শান্ত করেছেন ৫২ রান। আর দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হওয়ার পূর্বে করেন ২৯ রান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলে যোগ দেয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুলেন। মাত্র মাত্র ৫৬ বলে তার করা ৪ রানের ইনিংসটি ১৪টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো। সাকিবও আউট হননি।
এছাড়া লিটন দাস করেছেন করেছেন ৩ রান। আর ৪০ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ৫ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন।
ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে তাল রেখে বল তাদের দুর্দান্ত ছিলেন বোলাররাও। এরই সুবাদে দুদলের প্রথম ইনিংস শেষে ১১০ রানের পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে একমাত্র ফিফটি অধিনায়ক টিমিসেন মারুমার। ১৩২ তিনি করেন ৫৮ রান। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন কাইতানো এবং ওয়েসলি মেডেলেরে করেন ২৮ রান। বাকিরা সবাই বিশের নিচেই আউট হন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। আর তাসকিন-এবাদত পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
ইনিংসে ব্যাট না করলেও নিজেদের দ্বিতীয় ইংনিসে ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবাল ৩০ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া ১৩ বলে ৪ রান করে দিনশেষ করেন সাদমান ইসলাম।