ভারতে প্রায় তিন মাস পর ৪০ হাজারের নিচে নামল করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। সেই সঙ্গে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে, দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। সোমবার সকালে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৯৬। এ ছাড়া, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমে হয়েছে ৭২৩।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভারতে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৬১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। মারা গিয়েছিল ৮৫৩ জন। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনা সংক্রমণের সর্বমোট সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭২। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মোট ৪ লাখ ২ হাজার ৭৫৮ জন মারা গেছেন।
ভারতে টানা ২৬ দিন ধরে ৫ শতাংশের নিচে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেশ খানিকটা স্তিমিত হয়ে এলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ করে তুলতে পারে করোনার নতুন ট্রেইন ‘ডেলটা প্লাস’।
গত মার্চের মাঝামাঝি ভারতে ১ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ে। গত ৭ মে ভারতে ১ দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরন এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে।