মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত বিশ্ব। ২০১৯ সালের শেষে চীনে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর কখনো বৈশ্বিক সংক্রমণ বেড়েছে আবার কখনো কিছুটা কমেছে। তবে গত চার দিনে মোট বৈশ্বিক সংক্রমণ নিম্নমুখী রয়েছে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিলের মতো করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যু আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমায় মোট ফলাফলে এ নিম্নমুখী অবস্থান তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টার তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ২৯৩ জনের। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১১৯ জনের। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬১ জন।
এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্ত হলো ১৮ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৪১২ জনের। করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৯ জনের এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৮ জনের।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩২৪ জনের মৃত্যু হয় এবং করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন আরও ৪ লাখ ২৪ হাজার ৩২৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৯ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ১০ জুলাই করোনায় মোট মৃত্যু হয় ৭ হাজার ৫৬৮ জনের। ৯ জুলাই এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৪৮৭ জন আর ৮ জুলাই ছিল ৮ হাজার ৯২৫ জন।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের। একই সময়ে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৬ জনের এবং ব্রাজিলে ৭৬৫ জনের।
গত ৪ ঘণ্টায় বিশ্বে এ ভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ৮৯১ জনের। এছাড়া উচ্চ সংখ্যায় মৃত্যু হয়েছে রাশিয়া (৭১০ জন), কলম্বিয়া (৫০৯ জন) এবং আর্জেন্টিনায় (৪৭৪ জন)।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে দেশে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৬৩৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৫২১ জন। তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে রোমানিয়া আর পরে পাকিস্তান।