ঈদে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোলের আমদানি-রফতানি

যশোর প্রতিনিধি

বেনাপোল স্থলবন্দর
ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।

তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত ভারত থেকে এই বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমসহ কাস্টমস ও বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ২৪ জুলাই (শনিবার) সকাল থেকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল হলেও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দর ও কাস্টমসের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ২০ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত পবিত্র ঈদুল আজহা এবং ২৩ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই সকাল থেকে পূর্বের ন্যায় এ বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল হবে। কাস্টমস হাউস ও বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হবে ২৫ জুলাই (রোববার) সকাল থেকে।

জানা যায়, দেশে চলমান ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায়কারী স্থলবন্দর বেনাপোল। স্থল পথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি বছর এ বন্দর থেকে সরকারের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে-রাতে বন্দর এলাকায় টহল দেবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (অপারেশন) আজিজুল হক বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারি নেয়া হয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ পথে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকে-পড়েছিলেন তারা দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র, কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে সপ্তাহে তিন দিন যাওয়া আসা করতে পারবেন। ঈদের ছুটিতে তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেয়। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই নিজ খরচে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

শেয়ার করুন